১। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বয়লারে পরিবর্তে কী থাকে?
উত্তর : পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বয়লারের পরিবর্তে নিউক্লিয়ার রিয়্যাকটর থাকে।।
২। পাওয়ার প্ল্যান্ট কী?
উত্তর : পাওয়ার প্ল্যান্ট বলতে আমরা একটি কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝি যেখানে যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
৩। পাওয়ার স্টেশনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলাের নাম লিখ।
উত্তর : যন্ত্রপাতিগুলাে হচ্ছে- (ক) জেনারেটর, (খ) ট্রান্সফরমার, (গ) সুইচ গিয়ার, (ঘ) কন্ট্রোল গিয়ার ইত্যাদি।
৪। প্রাইমমুভারে ব্যবহৃত এনার্জি বা শক্তিগুলাে কী কী?
উত্তর : প্রাইমমুভারে ব্যবহৃত শক্তিগুলাে হলাে :
(ক) প্রাকৃতিক শক্তি, (খ) পানি শক্তি, (গ) জ্বালানি শক্তি, (ঘ) নিউক্লিয়ার শক্তি, (ঙ) সৌর শক্তি ইত্যাদি।
৫। প্রাইম মুভার কাকে বলে?
উত্তর : যে যন্ত্র নিজে ঘুরে এবং শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে তাকে প্রাইম মুভার বলে।
৬। থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল পাওয়ার প্লান্টে জ্বালানি দহনের মাধ্যমে তাপ শক্তি উৎপাদন করে উহা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয় তাকে থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট বলে।
৭। “ট্যাপিং পয়েন্ট” কিসে থাকে?
উত্তর : ট্যাপিং পয়েন্ট সাধারণত ডিস্ট্রিবিউটরে থাকে।
৮। ট্রান্সমিশন ভােল্টেজ কিসের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর : ট্রান্সমিশন ভােল্টেজ সর্বোচ্চ দক্ষতা, উন্নত রেগুলেশন এবং সর্বোপরি প্ল্যান্টের ইকনমিক দিকের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়।
৯। জ্বালানির উপর ভিত্তি করে পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকারভেদের নামগুলাে লিখ।
উত্তর : পাওয়ার প্ল্যান্টকে জ্বালানির উপর ভিত্তি করে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়। যথা।
(ক) বাষ্প বিদ্যুৎ কেন্দ্র, (খ) ডিজেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, (গ) গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, (ঘ) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, (ঙ) পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও (চ) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
১০ । রিসিভিং সাব স্টেশনের কাজ কী?
উত্তর : রিসিভিং সাব স্টেশনের কাজ হলাে জেনারেটরের উৎপাদিত 132 কেভি ভােল্টেজকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের সাহায্যে 33 কেভিতে রূপান্তর করে ফিডারের সাহায্যে পরবর্তী ডিস্ট্রিবিউশন সাব-স্টেশনে প্রেরণ করা।
১১। ফায়ার টিউব বয়লারের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : যে বয়লারের ল নলের মধ্যে আগুন থেকে প্রবাহিত হয় এবং এর বহির্দেশ দিয়ে পানি উত্তাপিত হয়ে বাষ্পে পরিণত হয়, তাকেই ফায়ার টিউব বয়লার বলে ।
১২। পালভারাইজারের প্রয়ােজনীয়তা কী?
উত্তর এটি এমন এক প্রকার যন্ত্র যা বড় আকারের কয়লা ভেঙ্গে নির্দিষ্ট ছােট আকারে পরিণত করে। এত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বার্নারের সাহায্যে বয়লারের চল্লিতে সরবরাহ করে সফলভাবে দহন ঘটানাে হয়। কয়লার আকার বড় থাকলে এর মধ্যে অদ্রতা থেকে যায়। ফলে, এই ধরনের জালানি চল্লিতে দিলে এর পুরোপুরি দহন ঘটে না। ফলে, আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। কিন্তু কয়লাকে পালভারাইজারে ভেঙ্গে নির্দিষ্ট আকারে পরিণত করে চুল্পিতে ব্যবহার করলে এটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে বয়লারে তাপ প্রয়ােগ করতে পারে। এতে বয়লারের চুল্লির উত্তাপন দক্ষতা (Heating Efficiencey) বেশি হয় এবং জ্বালানি খরচও কম হয়।
১৩। ইভাপােরেটরের কাজ কী?
উত্তর : এভাপোরেট’ অর্থ বাশ্মীভবন এবং এভাপোরেটর অর্থ, যে যন্ত্রের সাহায্যে বাষ্পীভূত করা হয়। সুতরাং এভাপােরেটর বয়লারের এমন একটি বিশেষ যন্ত্রাংশ যা দ্বারা বয়লারের আগত ফিডওয়াটারকে বাষ্পীভূত করণ ও পরিষ্কার করণের মাধ্যমে বয়লার-ড্রাম পানির ঘাটতি পূরণ করা হয়।
১৪। এয়ার প্রি-হিটার ব্যবহারের সুবিধা কী?
উত্তর : এয়ার প্রি-হীটার ব্যবহার করে জ্বালানির পুরােপুরি দহন ঘটায় ।
১৫। বয়লারে ইকোনােমাইজার ব্যবহার করা হয় কেন? অথবা, ইকোনােমাইজারের কাজ কী?
উত্তর : চিমনিস্থিত ফু-গ্যাসের তাপ কাজে লাগিয়ে বয়লারের ফিড ওয়াটার গরম করার জন্য ইকোনামাইজার ব্যবহার করা হয়।
১৬। ইকোনােমাইজার কাকে বলে?
উত্তর : এটি এমন এক প্রকার যন্ত্র যার সাহায্যে বয়লারে গমনােদ্যত ফিড ওয়াটারকে চিমনিস্থিত ফু গ্যাসের তাপের সংস্পর্শে কিছুটা গরম করা হয়। এটি কুণ্ডলীকৃত পাইপ বিশেষ কতগুলাে সমান্তরাল ইস্পাতের আকৃতির নল সংযুক্ত করে ইকোনােমাইজার প্রস্তুত করা হয়।
১৭। সুপার হিটার কী?
উত্তর : বয়লারের মধ্যে যে বাষ্প উৎপন্ন হয়, এটিতে কিছু পরিমাণ জলীয় বাষ্প উপস্থিত থাকে ফলে বাম্প টারবাইনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তাই উক্ত বাষ্পকে পুনরায় তাপ প্রদান করে পূর্ণ বাষ্পে পরিণত করতে যে হিটার ব্যবহৃত হয় তাকে সুপার হিটার বলে।
১৮। সুপারহিটার কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : বয়লারে উৎপাদিত বাস্প টারবাইনে কাজ করার মত গুণাবলী থাকে না। এতে যে তালীয় কণা বিদ্যমান থাকে তা সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করে বাষ্পের চাপ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য সুপারহিটার ব্যবহার করা হয় ।
১৯। থার্মোডাইনামিক সাইকেল বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : একই নিয়মে একই কাজ পুনঃপুন সম্পন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে সাইকেল বলে। থার্মোডাইনামিক সাইকেল এমন একটি কার্যপদ্ধতি যেখানে যন্ত্র কর্তক তাপ গ্রহণ, কার্য সম্পাদন ও তাপ অপসারণ পদ্ধতির সমষ্টি নির্দেশ করে।
২০। ভেপার সাইকেল বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : ভেপার সাইকেল এমন এক প্রকার থার্মোডাইনামিক সাইকেল যা পানি হতে বাষ্প উৎপাদন ও ঐ উৎপাদিত
বাষ্প দ্বারা কার্য সম্পাদন পদ্ধতি নির্দেশ করে।
২১। স্টিম জেনারেটর (বয়লার) কাকে বলে?
উত্তর : স্টিম জেনারেটর (বয়লার) এমন একটি বন্ধ প্রকোষ্ঠ যার মধ্যে পানিকে উত্তপ্ত করে বাষ্প উৎপাদন করা হয় ।
২২। বয়লার মাউন্টিংস বলতে কী বােঝায়?
উত্তর : বয়লারের সকল যন্ত্রাংশ ও এক্সেসরিজ এর সুষ্ঠু সংযােজন যার মাধ্যমে বয়লার সুষ্ঠুভাবে পরিচালন হয় এই যন্ত্রাশের সুষ্ঠু সংযােজনকে বয়লার মাউন্টিংস বলে।
২৩। বয়লার ড্রাফট বলতে কী বুঝায়? অথবা, বয়লার ড্রাফট ব্যাবহারের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : বয়লারের চুল্লিতে জ্বালানির পূর্ণ দহনের জন্য প্রয়ােজনীয় বাতাস সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে যে বায়ুচাপের পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়, তাকে বয়লার ড্রাফট বলা হয়।
২৪। চারটি বয়লার অক্সিলারির এর নাম লেখ।
উত্তর : বয়লার চারটি অক্সিলারিজ হলাে-
১। ফিড ওয়াটার পাম্প,
২। ওয়াটার ইনজেক্টর,।
৩। ফিড ওয়াটার হীটার,
৪। ইভাপােরেটর।
২৫। বয়লার এক্সেসরিজ কী?
উত্তর : যে সকল যন্ত্রাংশ বয়লারের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষভাবে সাহায্যে করে সে সকল যন্ত্রাংশকে বয়লার এক্সেসরিজ বলে।
২৬। স্টিম প্রান্টে পানি পরিশােধন করতে হয় কেন?
উত্তর : বয়লারে সরবরাহকৃত পানিতে কোন প্রকার দূষিত বস্তু থাকা ঠিক নয়। পানিতে দূষিত বস্তু থাকলে বয়লারে তলানি জমা হয়, ক্ষয় হয় এবং ভঙ্গুরতা দেখা দেয় তাই স্টিম প্লান্টে পানি পরিশােধন করতে হয়।
২৭। স্টিম জেনারেটরের কাজ কী?
উত্তর : স্টিম জেনারেটরের কাজ হলাে জ্বালানির তাপে পানিকে বাষ্পে পরিণত করা এবং এ বাষ্প দ্বারা ইলেকট্রো জেনারেটর সংযুক্ত স্টিম টারবাইনকে ঘূর্ণনগতি প্রদান করে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা।
২৮। ফিড ওয়াটার এর জিওলাইট ট্রিটমেন্টের সমীকরণ লিখ।
উত্তর : নিম্নে ফিড ওয়াটার এর জিওলাইট ট্রিটমেন্টের সমীকরণ লেখা হলাে :
Na (Al2 Si2O2)
২৯। কী কী পদ্ধতিতে ফিড ওয়াটার বিশুদ্ধ করা হয়?
উত্তর : নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে ফিড ওয়াটার বিশুদ্ধ করা হয়। যথা- (ক) যান্ত্রিক বিশুদ্ধকরণ, (খ) তাপীয় বিশুদ্ধকরণ, (গ) রাসায়নিক বিশুদ্ধকরণ, (ঘ) ডিমিনারালাইজেশন।
৩০ । ইম্পালস টারবাইন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : যে টারবাইন বাষ্পের ইম্পালসিভ ফোর্সে অথবা সরাসরি ধাক্কায় কাজ করে তাকে ইম্পালস টারবাইন বলা হয়।
৩১। রিয়্যাকশন টারবাইন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : যে টারবাইন বাষ্পের রিয়্যাকটিভ ফোর্সে বা চাপ শক্তিতে চালিত হয়, তাকে রিয়্যাকশন টারবাইন বলা হয় ।
৩২। কী কী পদ্ধতিতে বাষ্প টারবাইন গভর্নিং করা হয়?
উত্তর : তিনটি পদ্ধতিতে বাষ্প টারবাইন গভার্নিং করা হয়। যথা- (ক) থ্রটল গভার্নিং, (খ) নজল কন্ট্রোল গভার্নিং, (গ) বাইপাস গভার্নিং।
৩৩। বয়লারের অভ্যন্তরীণ অংশগুলাে কী কী?
উত্তর : বয়লারের অভ্যন্তরীণ অংশগুলাে হলাে-
১। ফারনেস অ্যান্ড কম্বাসশন চেম্বার (Furnace and Conbusion Clamber);
২। ওয়াটার চেম্বার (Water Chamber)
৩। বাষ্প চেম্বার (Steam Chamber),
8। চিমনি (Chimny).
১। পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচনের জন্য প্রধানত কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : নিম্নে পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচনের সময় বিবেচনার বিষয়গুলাে উল্লেখ করা হলাে :
১। বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ,
২। ব্যবহারের প্রকৃতি,
৩। শক্তির উৎসের প্রাচুর্যতা।
২। কোন এলাকায় চাহিদার পরিমাণ 10 মেগাওয়াটের বেশি হলে কী ধরনের পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচন করা হয়।
উত্তর : চাহিদার পরিমাণ 10 মেগাওয়াটের বেশি হলে যথাক্রমে গ্যাস, স্টিম ও পানি বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচন করা হয়।
৩। স্টিম, ডিজেল, পানি বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচনে প্রধান প্রধান কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : প্রধান প্রধান বিবেচনা বিষয়গুলো হলাে :(ক) বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ (খ) ব্যবহারের প্রকৃতি (গ) শক্তির উৎসের প্রাচুর্যতা।
৪। কোন এলাকায় চাহিদার পরিমাণ 10 মেগাওয়াটের কম হলে কী ধরনের পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচন করা হয়?
উত্তর : ঢাহিদার পরিমাণ 10 মেগাওয়াটের কম হলে ডিজেল পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচন করা হয়।
৫। লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রধান সুবিধা কী?
উত্তর : লােড সেন্টারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রধান সুবিধাসমূহ হচ্ছে পরিবহন, ডিস্ট্রিবিউশন খরচ অনেক কম লাগবে।
৬। অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য কোন ধরনের প্লান্ট অধিকতর সুবিধাজনক?
উত্তর : অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য ডিজেল প্লান্ট অধিকতর সুবিধাওনক।
৭। খরস্রোতা নদীতে কী ধরনের পাওয়ার প্লান্ট উপযুক্ত?
উত্তর : খরস্রোতা নদীতে হাইড্রে-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট উপযুক্ত।
৮। পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান নির্বাচনে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত জরিপ কী কী?
উত্তর : প্রাথমিক ও চূড়ান্ত জরিপ হলাে-
(ক) হাইড্রোলজিক্যাল (খ) টপ গ্রাফিক্যাল (গ) জিওলোজিক্যাল ।
৯। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের স্থান নির্বাচনে কী কী বিষয় বিবেচনা করতে হয়?
উত্তর : বিবেচ্য বিষয়গুলাে হলাে : (ক) মাটির কঠিনতা (খ) জ্বালানির প্রাচুর্য (গ) জনশন্য এলাকা (ঘ) যন্ত্রপাতি বা প্রথগিত সহায়তা (ঙ) পানি সরবরাহের প্রাচুর্য (চ) লোড সেন্টার বা চাহিদা।
১০। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জনবসতি শূন্য স্থানে স্থাপন করা হয়, কেন?
উত্তর : পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জনবসতি শূন্য স্থানে স্থাপন করতে হয় কারণ রিয়্যাক্টরের তেজস্ক্রীয় রশ্মি নির্গত হয় এ রশ্মি কোন কারণে বাইরে আসলে মানুষ, জীবজন্তু ও পরিবশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
১১। বাষ্প পাওয়ার প্ল্যান্টের স্থান নির্বাচনের সময় বিবেচ্য বিষয়গুলাে কী কী? অথবা, একটি স্টিম পাওয়ার প্ল্যান্টের স্থান নির্বাচনের জন্য কী কী বিষয় বিবেচনা করতে হয়?
উওর : স্টিম পাওয়ার প্ল্যান্টের স্থান নির্বাচনের সময় বিবেচ্য বিষয়গুলো হলাে :
১। মাটির কঠিনতা,
২। জ্বালানির প্রাচুর্যতা,
৩। যােগাযােগ ব্যবস্থা,
৪। বাজারের সুবিধা,
৫। শ্রমিকের প্রাচুর্যতা,
৬। পানির প্রাচুর্যতা,
৭। লোড সেন্টারের অবস্থান।
৮। পরিবেশ ও জনমত,
৯। নিরাপত্তা,
১০। দূষণ,
১১। জাতীয় প্রতিরক্ষা,
১২। শহর বা নগর কর্তৃপক্ষের মতামত।
১২। পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্বাচনে কী কী ফ্যাক্টর বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : বিবেচ্য ফ্যাক্টরগুলাে হলাে :
১। জনমত ও মটিভেশন,
২। মূলধন,
৩। যন্ত্রপাতি আমদানি,
৪। মাটির কঠিনতা,
৫। ক্যাচমেন্ট এলাকা,
৬। বাৎসরিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ,
৭। পানি স্টোরেজের ব্যবস্থা,
৮। খরস্রোতা নদী,
৯। পানির হেড ইত্যাদি।
১৩। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কেন্দ্রের নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম হচ্ছে ঘােড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন ক্ষমতা 1041 মেগাওয়াট এটি অবস্থিত নরসিংদীতে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ডের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২১-১২-২০১৩ তারিখে ঘােড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল ইউনিটের সম্মিলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা।
১৪। প্ল্যান লে-আউট বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার আগে কেন্দ্রের সমস্ত বিষয় উল্লেখপূর্বক একটি মানচিত্র অঙ্কন করাকে লে-আউট বলে।
১৫। একটি পাওয়ার প্লান্ট ডিজাইনে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে বিবেচনা করা উচিৎ।
(১) বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ : কোন এলাকার চাহিদার পরিমাণ 10 মেগাওয়াটের কম হলে ডিজেল পাওয়ার প্লান্ট এবং (২) মেগাওয়াটের বেশি হলে যথাক্রমে গ্যাস টারবাইন, স্টিম ও পানি বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।
(৩) ব্যবহারের প্রকৃতি : বিদ্যুৎ চাহিদার প্রয়ােন্ডান অনুসারে স্থায়ী ব্যবহারের জন্য যথাক্রমে ডিজেল, গ্যাস টারবাইন, স্টিম ও হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট নির্বচন করা হয়। পক্ষান্তরে অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য ডিজেল প্লান্ট অধিকতর সুবিধা জনক। (৩) শক্তির উৎসের প্রাচুর্যতা : যে যে স্থানে যে যে শক্তির উৎস পাওয়া যায় অর্থাৎ পর
১৬। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান নির্বাচনে বিবেচ্য ফ্যাক্টরগুলাে কী কী?
উত্তর : বিবেচ্য ফ্যাক্টরগুলাে নিম্ননরূপঃ (ক) জ্বালানির প্রাচুর্যতা (খ) মূলধন (গ) শক্ত ভিত্তি (ঘ) যােগাযােগ ব্যবস্থা (ঙ) স্থানীয় অবস্থা (চ) দূষিতকরণ।
১৭। ডিজেল প্ল্যান্টের স্থান নির্বাচনে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : বিবেচ্য বিষয়গুলাে হলাে :
(ক) লােড কেন্দ্র হতে দূরত্ব (খ) পানি সরবরাহের সুবিধা (গ) শক্ত ভিত্তি (ঘ) যােগাযােগ ব্যবস্থা (ঙ) স্থানীয় অবস্থা (চ) দূষিত করণ (ছ) বাজারের সুবিধা (জ) ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ।
১৮। লােড সেন্টারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রধান সুবিধা কী?
উত্তর : লােড সেন্টারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রধান সুবিধাসমূহ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন, পরিবহন খরচ অনেক কম লাগে।
১৯। গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান নির্বাচনে বিবেচ্য ফ্যাক্টরসমূহ কী কী?
উত্তর : বিবেচ্য ফ্যাক্টরগুলাে হলো :
(ক) জ্বালানির প্রাচুর্য (খ) মাটির প্রকৃতি (গ) যােগাযােগ ব্যবস্থা (ঘ) বাজারের সুবিধা (৪) শ্রমিকের প্রাচুর্য (চ) লােড সেন্টার (ছ) নিরাপত্তা (জ) পানি সরবরাহ।
Comments
Post a Comment
Thank you.....