ট্রান্সফরমার টেস্ট)টেস্ট
থ্রী-ফেজ ট্রান্সফরমারের ভেতর বাহির
(প্রথম
পর্বঃ ট্রান্সফরমার টেস্ট)টেস্ট
কেভিএ(KVA) ট্রান্সফরমার কোথায় ব্যবহার
করা
উচিৎ?
এখন আমরা আসি কতো kVA ট্রান্সফরমার
কোথায়
ব্যবহার করা উচিৎ তার কিছু নিয়ম সম্পর্কে।
তবে
লেখা দীর্ঘায়ীত না করে সংক্ষিপ্ত
ভাবেই বলি-
প্রথমে ট্রান্সফরমার এর অনুকূলে লোডের
পরিমান নির্ধারণ করা জরুরী । লোডের
পরিমাণ দ্বারা
কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হবে তা
হিসেব করা হয় ।
প্রাপ্ত মোট পাওয়ারের সাথে কিছু বাড়তি
হিসেব
করে কত রেটিং এর ট্রান্সফরমার প্রয়োজন
তা
নির্ধারণ করা হয় ।
বিশালকার ট্রান্সফরমারকে তৈরীর পর
কীভাবে
পরীক্ষা করা হয়ঃ
এবার আমরা জানবো এসব বিশালকার
ট্রান্সফরমারকে
তৈরীর পর কীভাবে পরীক্ষা করা হয়।
স্বভাবতই
এগুলো তৈরি করা হয় কিছু আন্তর্জাতিক
নিয়ম অনুসারে
এবং এর দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে একে
পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে প্রতিধাপে পরীক্ষা করা
হয়।
ট্রান্সফরমার টেস্টিংঃ
সাধারণত থ্রি-ফেজ ডিস্ট্রিবিউশন
ট্রান্সফরমারে
একাধিক পরিমাণ টেস্ট করা হয়ে থাকে ।
স্থান ও ধরন
হিসেবে টেস্ট দুই অবস্থায় করা হয়
১. ফ্যাক্টরি টেস্ট ( Test done at factory)
২. সাইট টেস্ট ( Test done at Site)
(আমরা ফ্যাক্টরি টেস্ট বিষয়ে আলোচনা
করব)
১. ফ্যাক্টরি টেস্ট
ফ্যাক্টরিতে ট্রান্সফরমার তৈরির বিভিন্ন
ধাপে ধাপে
আমরা বিভিন্ন ধরণের টেস্ট করে থাকি,
এবং
সর্বশেষে সম্পূর্ণ তৈরি শেষে কিছু টেস্ট
করা
হয়।
কাস্টমার ডিমান্ড ও সে অনুযায়ী ডিজাইন-
কমপ্লিট
প্রডাকশন শেষে ট্রান্সফরমারটিকে তার
সঠিকতা যাচাই
এর জন্য বেশ কিছু টেস্টে সফল ভাবে
উত্তির্ণ
হতে হয় । যা দ্বারা প্রমাণিত হয়
ট্রান্সফরমারটি কাস্টমার
ডিমান্ড অনুসারে সঠিক রেটিং এর
ট্রান্সফরমার প্রস্তুত
আছে।
ফ্যাক্টরি টেস্টেরও কিছু প্রকার ভেদ
রয়েছে,
এগুলো হলঃ- টাইপ টেস্ট, রুটিন টেস্ট এবং
স্পেশাল
টেস্ট ।
ট্রান্সফরমার এর ইলেক্ট্রিক্যাল ও
মেকানিকাল
প্যারামিটারগুলো সঠিক আছে কিনা এবং
তাদের গুণগত
মানের সঠিকতা যাচাই হল টাইপ টেস্টের
অংশ ।
রুটিং টেস্টের অংশগুলো হলঃ-
ওয়াইন্ডিং রেজিস্টেন্স টেস্ট,
ট্রান্সফরমার এর HT ও LT সাইডের ফেজ টু
ফেজ
কয়েল ওয়াইন্ডিং রেজিস্ট্যান্স টেস্ট করা
হয় ।
থ্রী-ফেজ ট্রান্সফরমারের ভেতর বাহির
(প্রথম
পর্বঃ ট্রান্সফরমার টেস্ট)টেস্ট
ভোল্টেজ রেশিও টেস্ট
HT সাইডের সাপেক্ষে LT সাইডের
ভোল্টেজ
রেশিও এর সঠিকতা যাচাই করার জন্য এই
টেস্ট করা
হয় । ডিজাইনে যে রেশিও হিসেব করে HT
ও LT
কয়েল ওয়াইন্ড করা হয়েছে, সে পরিমাণ
রেশিও
ঠিক আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার মূল
উদ্দেশ্যই
রেশিও টেস্ট । বাংলাদেশের সাপেক্ষে
ট্রান্সফরমার এর HL সাইডে ইনপুট
ভোল্টেজের
ভেরিয়েশন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই HT
ওয়াইন্ডিং এ
বেশ কিছু পরিমান ট্যাপ পজিশন রাখা হয়,
আর তাই প্রতিটা
ট্যাপ পজিশনেই HT সাইডের সাপেক্ষে
ভোল্টেজ রেশিও পরিমাপ করা হয়। যেমনঃ
একটি
১১০০০/৪১৫ ভোল্টের থ্রি-ফেজ ট্রান্সফরমার
এর
ভোল্টেজ রেশিও ২৬.৫০ প্রায়। সহজে
রেশিও
টেস্ট এর জন্য ট্রান্সফরমার এর HT সাইডে
আমরা
৪১৫ ভোল্টেজ সাপ্লাই দিয়ে LT সাইডে এর
রেশিও পরীক্ষা করি ।
ভেক্টর গ্রুপ ও পোলারিটি টেস্ট
HT ও LT কয়েলের কানেকশন ডায়াগ্রাম
অনুযায়ী
বিভিন্ন গ্রুপের ট্রান্সফরমার আছে, আমাদের
প্রডাক্ট Dyn11 গ্রুপের । আমরা ভেক্টরগ্রুপ
টেস্টের জন্য ট্রান্সফরমার এর HT সাইডে ৪১৫
ভোল্ট সাপ্লাই দিই এবং এর পূর্বে HT এর “A”
ফেজ ও LT এর “a” ফেজ একটি ক্যাবলের
দ্বারা
শর্ট করে দেই । এরপর ৪১৫ ভোল্ট প্রয়োগ
করে B ও b, এবং B ও c ফেজের ভোল্টেজ
পরিমাপ করি। শর্ত সাপেক্ষে Bb ও Bc উভয়
ফেজদ্বয়ের ভোল্টেজ সমান হবে ।
আবার অপরদিকে C ও c এবং C ও b এর
ভোল্টেজ
পরিমাপ করলে Cc এর ভোল্টেজের তুলনায়
Cb
এর ভোল্টেজ বেশি হবে ।
থ্রী-ফেজ ট্রান্সফরমারের ভেতর বাহির
(প্রথম
পর্বঃ ট্রান্সফরমার টেস্ট)টেস্ট
ডাই-ইলেক্ট্রিক টেস্ট
সহজ কথায় সম্পুর্ণ ট্রান্সফরমারটির ইনসুলেশন
পরিমাণ
পরিমাপ করাই হল ডাই-ইলেকট্রিক টেস্ট ।
যেহেতু
HT ও LT কয়েলের মধ্যে সরাসরি
ইলেক্ট্রিক্যালি
কানেকশন নেই, তাই এই দুই ওয়ান্ডিং এর
মাঝে High-
Resistance থাকা আবশ্যক, রেজিস্ট্যান্স এর
পরিমান
নির্ভর করে ওয়াইন্ডিং সমূহের ইনসুলেশন ও
ইনসুলেটিং ইলিমেন্টের শুষ্কতার ওপর ।
আমাদের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী
উক্ত
রেজিস্ট্যান্সের মান 2 Giga ohms বা 2000
Mega
ohms. এর বেশি । ডাই-ইলেক্ট্রিক টেস্টার
মিটারকে মেগার মিটার বলা হয় ।
থ্রী-ফেজ ট্রান্সফরমারের ভেতর বাহির
(প্রথম
পর্বঃ ট্রান্সফরমার টেস্ট)টেস্ট
থ্রী-ফেজ ট্রান্সফরমারের ভেতর বাহির
(প্রথম
পর্বঃ ট্রান্সফরমার টেস্ট)টেস্ট
ফুল লোড লস/ শর্ট সার্কিট/ কপার লস টেস্ট
ট্রান্সফরমার এর LT সাইডের সবগুলো
টার্মিনাল শর্ট
করে HT সাইডে উক্ত ট্রান্সফরমার এর
রেটেড
কারেন্ট সাপ্লাই দিয়ে ওয়াট মিটারের
দ্বারা লোড লস
পরিমাপ করা হয় । রেটেড কারেন্ট সাপ্লাই
দিলে HT
সাইডের ল
Comments
Post a Comment
Thank you.....